যশোরে ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হত্যা মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি মুল্লুক চাঁদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় সঞ্জয় চৌধুরীসহ চারজনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, নগর বিএনপির সভাপতি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে মুল্লুক চাঁদ, শহরের গাড়িখানা রোডের পাওয়ার হাউজ মোড়ের মৃত ছালেম ব্যাপারির ছেলে শাহ আলম, শাহ আব্দুল করিম রোডের রিয়াজ আলী ছেলে মহব্বত আলী মন্টু, লোন অফিসপাড়ার মৃত আলী আহম্মেদ সরদারের ছেলে জসিম উদ্দিন, মণিরামপুরের আগরহাটি গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও লাউড়ি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকা।
হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় রকিবুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সঞ্জয় চৌধুরী, রাজু আহম্মেদ, আব্দুর রহমান রাজন ও জসিম মোল্লার অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত বায়েজিদ খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার হাজী ইসমাইল লিংক রোডের আল আমিন মহল্লার ৬২/৩ নম্বর বাড়ির মৃত শিকদার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মুল্লুক চাঁদ ও সঞ্জয় চৌধুরীর ঢাকার অফিসের কর্মী ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ ও তার স্ত্রী ঢাকা থেকে খুলনার বাড়িতে আসেন। ২৪ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মুল্লুক চাঁদের কর্মচারি শহিদুল ইসলাম, রাজু ও রাজনসহ অপিচিত কয়েজন বায়েজিদের বাড়িতে যান। বায়েজিদের কাছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পেত তার প্রতিষ্ঠান। ওই টাকার জন্য তাকে খুলনা থেকে যশোর নিয়ে আসে তারা। এরপর টাকা আদায়ের জন্য তাকে মারপিট করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা না দিয়ে বায়েজিদকে চালের আড়তের একটি ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে বায়েজিদ মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের মা দিলরুবা বাদী হয়ে নয় জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জামা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এএজে